Top ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Secrets
Top ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Secrets
Blog Article
জলবায়ু ও মাটি : ড্রাগন ফলের জন্য শুষ্ক জলবায়ু দরকার। মাঝারি বৃষ্টিপাত ভালো। তবে অধিক বৃষ্টি হলে ফুল ঝরে যায় ও ফলে পচন দেখা যায়। পানি জমে না এমন উঁচু যেকোনো মাটিতে ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। রোদ, খোলামেলা জায়গা ও প্রচুর জৈবসারে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মেনু নির্বাচন করুন
মাটি তৈরি: ড্রাম বা টবের ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার মিশিয়ে টব বা ড্রাম এমনভাবে ভর্তি করতে হবে যেন উপরে পানি দেওয়ার জন্য একটু খালি থাকে। এরপর মাটির সাথে অন্যান্য উপাদান ভালোভাবে মেশানোর জন্য পানি দিয়ে ১০-১২ দিন রেখে দিতে হবে।
১. চারার জোড়া জায়গাটির নিচে কোন প্রকার ডালপালা বার হলে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিতে হবে।
অনেকে আছে যারা প্রচন্ড পরিমাণ পেটের পীড়ায় ভুগছে। পেটের পীড়া তথা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ড্রাগন ফল খুবই উপকারি। ড্রাগনে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য খুবই ফলফ্রসু। এছাড়াও এতে থাকে যথেষ্ট পরিমাণ পানি। যা হজমে এবং পেটের পীড়া তাড়াতে বেশ কার্যকারী।
ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
সারি ফসলে অটোমেটিক ইন-লাইন ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম প্যাকেজ সেটআপ ভিডিও
ড্রাগন ফলে রয়েছে ফেনোলিক নামক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এগুলো শরীরে ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এই ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ পদার্থ এবং কিছু বিশেষ উপাদান যা আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলো বের করে দেয়। এতে করে মানব শরীরের ক্যান্সার নামক রোগ জন্মাতে পারে না এবং উল্লেখিত এসিড ক্যান্সার কোষগুলোকে নিঃশ্বেষ করে দেয়।
আমাদের মানব শরীরের জন্য লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। এমনিতে ড্রাগন মোটামোটি কয়েক রঙ্গের হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে বর্তমানে here বেশি দেখা যায লাল ড্রাগন এবং সাদা/গ্রে কালারের। কিন্তু লাল ড্রাগনের কিছু অতিরিক্ত উপকারিতা রয়েছে। উদাহরণসরূপ লাল ড্রাগন খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারিতাসহ ওজন হ্রাস করা, হৃৎপিন্ড ভালো রাখা, হজমে সহায়তা করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি হলো লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
ফ্লোরিডা পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে দুই পাশে দুটি খুঁটি পুঁতে মোটা তারের উপর জাংলার মতো তৈরি করে গাছ জাংলায় তুলে দিতে হয়।
ড্রাগন ফলের চাষ বানিজ্যিক ভাবে যেমন লাভজনক তেমন রয়েছে এই ফলের অনেক উপকারিতা। চিরাচরিত ও গতানুগতিক চাষ থেকে বেরিয়ে এসে যে সব কৃষক বন্ধুরা নতুন এবং বিকল্প চাষ শুরু করেছেন, তারাই লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে যেমন ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশের বিভিন্য স্থানে মিষ্টি আঙ্গুর ফলের চাষ হচ্ছে, আপেলের চাষ হচ্ছে, কমলা লেবুর চাষ হচ্ছে, কাল গমের চাষ হচ্ছে, আরো অনেক…
ক্যাকটেসি পরিবারের অন্তর্গত ড্রাগন ফলের উৎস দক্ষিণ মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায়, এটি সেই দেশের জনপ্রিয় ফল। অন্যান্য ক্যাকটাস জাতীয় ফসলের মতো ড্রাগন গাছের উৎপত্তি মরু অঞ্চলে নয়, বরং এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত সমৃদ্ধ স্থানে। তাই গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য গড় ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং বাৎসরিক ৫০০ থেকে ১০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন হয় ।
৩) তৃতীয় স্তরে বালুর একটি লেয়ার তৈরি করে দিতে হবে। মনে রাখা জরুরী জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যত ভালো হবে গাছ ততো ভালো থাকবে।
ড্রাগন ফলটি হলো ক্যাকটাস গোত্রের একটি জাত এবং এর গাছটি দেখতে হুবহু প্রায় ক্যাকটাসের ন্যায় লতার মতোই দেখায়। অনেকটা মাংসাল এবং খাঁজকাটাযুক্ত গাছ।